সরিষার ভিতরেই কি ভুত লুকিয়ে আছে? ভাল করে গভীর ভাবে বিষয়টা নিয়ে একটু ভেবে দেখেন তো? এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন নিয়ে প্রহসন, বেতন নিয়ে কালক্ষেপণ ও বিভিন্ন অজুহাত দূরীকরণের জন্য ইএফটির মাধ্যমে বেতন প্রদানের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। যার বিরোধিতা মাউশি ও ইআইএমএস সেলের কিছু কর্মকর্তারা শুরু থেকেই প্রতক্ষ্য না হলেও পরোক্ষভাবে বিরোধিতা করে আসতেছে। কারণ হিসাবে অফিসিয়ালী কোন কিছু না জানা গেলেও বাতাসে গুণজন রয়েছে এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীরেদের বেতন প্রদানের দীর্ঘসূত্রীতার পেছনে কাজ করে মাউশি ও ইআইএমএসসেলের একটি সিন্ডিকেট। যারা কিনা এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের বেতনের এই টাকা ব্যাংকে জমা রেখে সুদ বাণিজ্য করে।
আরও পড়ুন….১৬ হাজার শিক্ষক কর্মচারীর কথা কি আমরা ভুল গেলাম?
বিষয়টি কতটুকু সত্যি আর কতটুকু মিথ্যা তা হয়ত আমি এখানে ১০০% প্রমাণ পেশ করতে পারব না তবে কিছু অনুমান আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করব আপনারা আমার এই অনুমানগুলো ভালভাবে পর্যালোচনা করার চেষ্টা করবেন তাহলেই একটা ধারণা পেয়ে যাবেন বলে আমার বিশ্বাস।
আরও পড়ুন…..বেতন ও বোনাস নিয়ে আবারও নতুন করে অনিশ্চয়তা?
১) সকল জল্পনা ও কল্পনার পর মাউশির ডিজি বেতন ও বোনাসের তারিখ কোনদিন ঘোষণা করেছিল? ২০ তারিখে বেতন পাওয়া যাবে আর বোনাস ২২ তারিখ।
২) বেতন ও বোনাসের জন্য প্রতি মাসেই কি সকল শিক্ষক ও কর্মচারীদের তথ্য নতুন করে ভেরিফিকেশন করতে হয়।
৩) যদি তা না হয় তাহলে কেন এই দীর্ঘসূত্রীতা কেন এই সময়ক্ষেপন।
৪) ইএফটির জটিলতা কি শুধু এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের বেলায় প্রযোজ্য?
৫) তথ্য ভেরিফিকেশন কি শুধু এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বেলায় প্রযোজ্য।
৬) টেকনিক্যাল ইস্যু কি প্রতিমাসেই যখন বেতন প্রদানের সময় হয় তার ঠিক পূর্ব মুহুর্তে তৈরি করে ৩-৪ দিন কখনও কখনও ১ সপ্তাহ বেতন প্রদানে দেরী করা হয়। যেমন এবার আজ ২৫ তারিখ মাউশি জানচ্ছে যে, নতুন করে টেকনিক্যাল কিছু ইস্যু তৈরি হয়েছে যা সমাধান করতে ২ থেকে ৩ দিন সময় লাগতে পারে।
৭) টেকনিক্যাল এই ইস্যু কি শুধু এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের ইএফটিতে বেতন প্রদানের জন্য প্রতিমাসে তৈরি হয়। অন্য কোন পেশার কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন প্রদান করতে কোন মাসেই কোন টেকনিক্যাল ইস্যু তৈরি হয় না। এমনকি মাউশির কর্মকর্তাদের বেতন প্রদান করতেও কোন টেকনিক্যাল ইস্যু তৈরি হয় না।
৮) জিও জারি করা হয়েছে আজ ২৫ তারিখ কিন্তু বেতন মাউশির কথা মতো পাওয়া যেতে পারে ২৭ তারিখ এর পূর্বে নয় এই দুইদিন টেকনিক্যাল ইস্যু তৈরি করা হয়েছে। তাহলে প্রশ্ন হলো এই দুইদিন টাকা কোথায় থাকবে? কয়েকশত কোটি টাকা এই দুইদিন কি অকারণেই বসে থাকবে না কি অন্য কোন ষড়যন্ত্রের গন্ধ কি এখানে পাওয়া যায় না।
৯) মাউশি কখনই মন থেকে চায় না যে, এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের কোন জটিলতা পুরোপুরি সঠিক উপায়ে নিরসন হউক। কেন চায় না তা মাউশিই ভাল বলতে পারবে তবে সাধারণ শিক্ষক কর্মচারীর নিকট তা নিয়ে কিন্তু নানা ধরনের প্রশ্নের উত্তর চালু রয়েছে।
১০) যে কোন একটি সমস্যা একবার একমাস হতে পারে কিন্তু যদি একই সমস্যা পুনরায় ফিরে ফিরে আসে তাহলে তা নিয়ে কিন্তু যথেষ্টে সন্দেহের অবকাশ তৈরি হয়।
পরিশেষে যে কথাটা বলতে চাই তা হলো মাউশির উচিত বিষয় গুলো পরিস্কার করা। এবং আমাদের সরকারের বা মাউশির উর্ধতন কর্মকর্তাদের উচিত বিষয়টি ভালভাব তদন্ত করে দেখা। একটি প্রতিষ্ঠানের যেমন সকলেই খারাপ থাকে না তেমনি সকলেই কিন্তু ভালও থাকে না। তাই যারা কিনা বিবেকবান, যারা কিনা মানবিক, যারা প্রতিনিয়ত দেশ ও জাতির কল্যাণে নিজেকে প্রতিনয়ত বিলিয়ে দিচ্ছেন তাদের উচিত বিষয়টি ভালভাবে তদন্ত করে জনসম্মুখে এর সঠিক অবস্থা তুলে ধরা।
Leave a Reply