1. admin@kp-nat.com : admin : Ayub Ali
  2. ayub.bhs@gmail.com : Ayub ali : Ayub ali
মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ০৭:৪৫ অপরাহ্ন

দায় এড়ানো কথা বললেন মাউশির ডিজি।

  • Update Time : মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ, ২০২৫
  • ৬৯২ Time View
দায় এড়ানো কথা বললেন মাউশির ডিজি।

‘স্কুল-কলেজে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের ঈদ উৎসব ভাতা এবং বেতনের সব কাজ শেষ করা হয়েছে। বাকি কাজ ব্যাংকের। ব্যাংকের বিষয়টি আমাদের হাতে নেই। আশা করছি বৃহস্পতিবারের  মধ্যে শিক্ষক-কর্মচারীরা বেতন-ভাতার অর্থ তুলতে পারবেন।’

এই ধরনের কথাবার্তা কি একজন দায়িত্ববান ব্যাক্তি হয়ে, একটি দায়িত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে বসে থেকে তার এবং তার প্রতিষ্ঠানের ব্যর্থতা ঢাকার জন্য বলতে পারেন কিনা এটা ভাবার বিষয়। মানুষ কতটা নিলর্জ্জ বেহায়া হলে এধরনের বক্তব্য প্রদানের মাধ্যমে তার ও তার প্রতিষ্ঠানের দোষ ত্রুটি ঢাকতে পারে। একজন ব্যর্থ ডিজি হিসাবে তার উচিত ছিল তার দূর্ণীতি পরায়ন কর্মকর্তা ও কর্মচারীর পক্ষে সাফাই না করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া তিনি সেটা না করে আরও তাদের সাফাই দিচ্ছেন।

আরও পড়ুন…..২৫ থেকে ২৭ এই দুই দিন টাকা কোথায় থাকবে?

মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) বিকেলে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আজাদ খান।

মাদ্রাসার শিক্ষক-কর্মচারীরা ঈদের আগে মার্চের বেতন পাচ্ছেন, অথচ স্কুল-কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীরা এখনো ফেব্রুয়ারির বেতন পাননি। বেতন নিয়ে বিড়ম্বনা কবে কমবে—এইন প্রশ্নের জবাবে প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আজাদ খান বলেন, ‘চার লাখ শিক্ষক-কর্মচারীর বেতন অনলাইনে দেওয়া খুব সহজ বিষয় না। অনেকের তথ্যগত ভুল রয়েছে। তবুও মানবিক বিবেচনায় তাদের বেতন দেওয়া হচ্ছে। নতুন একটি বিষয় বাস্তবায়ন করতে নানা সমস্যা হয়। সব সমস্যা সমাধান করে বেতন দেওয়ার কাজ চলছে।’

সহজ বিষয় নয় তাহলে আপনারা কি করতে এখানে বসে আছেন। আপনারা কি শিক্ষক কর্মচারীদের দয়া ভিক্ষা প্রদান করতেছেন। আপনারা কথায় কথায় বলেন তাদের তথ্যের নানা ধরনের ভুল রয়েছে। কি ভুল রয়েছে বলেন, ভুল যদি থাকত তাহলে আজ পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানের ইএফটি প্যানেলে ভুল দৃশ্যমান করতে পারলেন না কেন? আমি দায়িত্ব নিয়ে বলছি হ্যাঁ কিছু শিক্ষক কর্মচারীর কিছু তথ্যের জটিলতা রয়েছে তাও সেগুলো আপনাদের তৈরি কারণ তারা যখন এমপিওভুক্তির জন্য আবেদন করেছিল তাদের বিভিন্ন তথ্য এন্ট্রি করতে ভুল করেছিল আপনার প্রতিষ্ঠানের দুর্ণীতিবাজ ডাটা এন্ট্রি অপারেটররা। আপনি আজ এসে বলছেন মানবিক বিবেচনায় বেতন দেওয়া হচ্ছে। মানবিক বিবেচনা করার আপনি কে, আপনি কি এদেশের মালিক নাকি যে আপনি কথায় কথায় বলেন মানবিক বিবেচনায় আমরা শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন প্রদান করছি। মনে রাখবেন বাড়াবাড়ির একটা শেষ আছে?

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আমাদের কাজ শেষ করেছি। শিক্ষা মন্ত্রণালয় অনুমোদনও দিয়েছে। বাকি কাজ অর্থ মন্ত্রণালয় এবং ব্যাংকের। তাদের বিষয়গুলো নিয়ে আমরা বক্তব্য দিতে পারি না। কবে ব্যাংকে টাকা পাঠানো হবে সেটি চিফ অ্যাকাউন্টস অফিস ভালো বলতে পারবে।’

আপনি বলতে পারবেন আপনার কমিশন বাণিজ্য নিয়ে কি করে শিক্ষকের টাকা অতিরিক্ত কিছু দিন ব্যাংকে রেখে সুদ বাণিজ্য করা যায়। যেদিন হাতে নাতে প্রমাণ মিলবে সেদিন বুঝবেন। দশ দিন চোরের একদিন সাধুর।

শেষ কথা হলো এই যে, কোন বিবেবকবান লোক বা মানুষ মাউশি থাকে বলে অন্ততঃ আমার মনে হয় না। মাউশি যারা থাকে তাদের বিবেক ফ্যাসিষ্টদের সাথে বাঁধা অথবা মরে গেছে অনেক আগেই। মাউশির বর্তমান কাজ এখন একটাই কিভাবে সরকারকে প্রশ্নের সম্মুখীন করা যায়, কিভাবে সরকারকে হেয় করা যায়। আফসোস আমাদের সরকারের উচ্চ পর্যায়ে যারা আসীন হয়ে আছেন তারা মাউশির এহেন কাজকর্ম দেখেও না দেখার ভান করে বসে আছেন। যার জন্য তাদেরও একদিন আফসোস করতে হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আমার খবর
© All rights reserved © 2025 Kisukhoner Pathshala
Customized By BlogTheme