বাংলায় একটা বহুল প্রচলিত প্রবাদ আছে “অভাগা যেদিকে চায়, সাগর শুকিয়ে যায়”। এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের বেলায় অনেকটা সেরকমই ঘটেছে। সকলেই অনেক আশায় বুক বেঁধেছিল যে, ইএফটির ফলে এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন প্রদানের দীর্ঘদিনের যে, প্রচলিত বৈষম্য রয়েছে তা দুর হবে। কিন্তু বাস্তবে তো তার ধারে কাছেও কিছু হলো না। উল্টো জটিলতা দিন দিন আরও বাড়ছে।
ইএফটির যুগের আগেও বেতন প্রদানের ক্ষেত্রে যে জটিলতা ছিল, যে দীর্ঘসুত্রীতা ছিল তা তো এখনও রয়ে গেছে। আগেও এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীরা ঈদ আসলে বেতন পাওয়া নিয়ে যে টেনশনের মধ্যে পড়ত এখনও ঠিক তেমনি পড়ছে। পার্থক্য শুধু ইএফটির জামানার আগে অন্যান্য সময় মোটামুটি ৫-১০ তারিখের মধ্যে প্রতিমাসের বেতন পাওয়া যেত। আর এখন প্রতিমাসের বেতনটাও ঠিক মত পাওয়া যায় না। এখন এক মাসের বেতন পেতে অন্য আর এক মাস পর্যন্ত অপেক্ষা করেও পাওয়া যায় না ঠিক মতো।
আমি পূর্বেই বলেছিলাম যে, সরকারী চাকুরীজীবিদের ইএফটি আর এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের ইএফটি একই ভাবে পরিচালিত হবে না। সরকারী চাকুরীজীবিদের ইএফটিতে প্রতি মাসে সরাসরি আইবাস++ বেতন বিল সাবমিট করতে হয় কিন্তু এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের বেলায় কি তা হচ্ছে। এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের বেলায় সেই আগেও যে নিয়ম ছিল এখনও কিন্তু সেই একই প্রক্রিয়া বলবৎ রয়েছে। আগে আমরা বিল করে ব্যাংকে জমা দিতাম এখন বিল মাউশি তে জমা দিতে হয় পার্থক্য শুধু এতটুকুই বাকি সকল নিয়ম কানুন কিন্তু সেই এনালগ সিষ্টেমেই পরিচালিত হচ্ছে। আগেও যেমন প্রতিমাসে বেতন প্রদান করতে মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন সহ নানা প্রক্রিয়া পার করতে হতো এখনও ঠিক তেমনি রয়েছে কোন কিছুই পরিবর্তন হয়নি।
এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন প্রদানে আগেও আমালাদের কালো থাবার প্রভাব ছিল এখনও আছে। আমাদের ইএফটি কনভার্টেড ইএফটি। আমাদের ইএফটি নমে ইএফটি কাজে এর তেমন কোন সুফল পাওয়া যাবে বলে মনে হয় না। সুফল পাওয়া যাবে আগে লোকালা ব্যাংকে গিয়ে এমপিও অর্ডার এর জন্য ধর্ণা দিতে হতো এখন সেটা করতে হবে না। এই সুফলটুকু পাওয়া যাবে।
ডিসেম্বর থেকে এই পর্যন্ত বেতন দিতে পারে নি,eft টির চেয়ে আগেই ভালো ছিল।বেতন বন্ধ কেহ কেহ বলছে আপনার জাল সনদ,লজ্জা হওয়া উচিত eft ব্যক্তিদের।