এমপিওভুক্ত স্কুল কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীদের ইএফটিতে বেতন নিশ্চিত করার জন্য তথ্য সংশোধন করতে সময় বাড়ানো হয়েছে।
অপরদিকে, স্কুল-কলেজের নতুন এমপিও অনুমোদন পাওয়া শিক্ষক-কর্মচারীদের আগামী ৮ মার্চের মধ্যে প্রতিষ্ঠানের প্রধানের মাধ্যমে এমপিও ইএফটি মডিউলে অনলাইনে প্রয়োজনীয় তথ্য পাঠাতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
গত বুধবার (৫ মার্চ) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর এ সংক্রান্ত আলাদা আদেশ জারি করা হয়েছে। পূর্বের সময়সীমার মধ্যের অধিকাংশ শিক্ষক কর্মচারী তাদের প্রয়োজনীয় তথ্য সংশোধন প্রক্রিয়া শেষ করতে না পারার কারণে এই সময় বর্ধিতকরণ করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
প্রতিষ্ঠান-প্রধান আগামী ২০ মার্চের মধ্যে আবেদন করবেন।
উপজেলা থেকে আবেদন পাঠাবেন ৩০ মার্চের মধ্যে,
জেলা থেকে আবেদন পাঠাবেন ১০ এপ্রিলের মধ্যে।
আঞ্চলিক উপপরিচালক আবেদন পাঠাবেন ২০ এপ্রিলের মধ্যে এবং
২৭ এপ্রিল মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর অনুমোদন দেবে।
প্রতিষ্ঠানের প্রধান আবেদন করবেন সর্বশেষ ২০ মার্চের মধ্যে
আঞ্চলিক উপপরিচালক আবেদন পাঠাবেন একই দিন ২০ মার্চ।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর আবেদন অনুমোদন দেবেন ২৭ মার্চ।
অপরদিকে স্কুল-কলেজের নতুন এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের আগামী ৮ মার্চের মধ্যে প্রতিষ্ঠান-প্রধানের মাধ্যমে এমপিও ইএফটির ড্যাশবোর্ডে অনলাইনে প্রয়োজনীয় তথ্য পাঠাতে নির্দেশনা দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তপর(মাউশি)।
১) বেতন কোন ধাপে এসেছে সেটা মুখ্য নয় আপনার যদি ভুল থাকে তাহলে সংশোধন করতে হবে। তাই আপনি নিজে আপনার সকল তথ্য ভালভাবে চেক করুন তারপর ভুল থাকলে সংশোধনের উদ্যেগ গ্রহণ করুন।
২) যাদের ডট,স্পেস,হাইফেন সমস্যা আছে,এগুলোকে সিথিল করা হয়েছে। আপাতত সংশোধনের প্রযোজন নাই। তবে পরবর্তীতে সংশোধন লাগতে পারে। এই ভুলের জন্য বেতন ভাতা বন্ধ থাকবে না।
৩) যাদের নামের বানান অর্থাৎ আক্ষরিক ভুল রয়েছে তাদের সংশোধন লাগবে তারা এমপিও কারেকশন করে তথ্য সংশোধন করতে হবে। যেমনঃ নামের কোন অংশ বাদ বা অক্ষরভুল ইত্যাদি ক্ষেত্রে।
৪) যাদের নাম বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন রকম যেমনঃ এনআইডির সাথে শিক্ষা সনদের অমিল সেক্ষেত্রে শিক্ষক হলে এনআইডি সংশোধন করবেন এবং কর্মচারী হলে সনদ সংশোধন করবেন।
৫) যাদের পদবীর ভুল রয়েছে তাদের সংশোধন করতে হবে এমপিওশীটে অর্থাৎ এমপিওতে কারেকশন করবেন তাহলেই হয়ে যাবে। এমপিওতে কারেকশন করলে ইএফটিতে অটোমেটিক কারেকশন হয়ে যাবে।
৬) যাদের জন্ম তারিখ ভুল আছে তাদের ক্ষেত্রে অবশ্যেই শিক্ষা সনদের ক্ষেত্রে যেভাবে সংশোধন করবেন ঠিক সেভাবে সংশোধন করবেন। তবে এ প্রক্রিয়াটি বেশ জটিল জন্ম তারিখ সংশোধন করতে হলে শিক্ষা সনদের সাথে মিল করেই করতে হবে। শিক্ষা সনদ দিয়ে এনআইডি সংশোধন করতে হবে। তারপর এমপিও কারেকশন করে নিবেন।
৭) যাদের ব্যাংক একাউন্ট নম্বর বা ব্যাংকের হিসাবের নাম ভুল তাদের ক্ষেত্রে ব্যাংক একাউন্ট নম্বর ও হিসাবের নাম ভাল করে ব্যাংক থেকে নিশ্চিত হয়ে ইএফটির ড্যাশবোর্ডে পুনরায় আপলোড দিন।
৮) যাদের এনআইডি নম্বর ভুল রয়েছে তাদের ক্ষেত্রেও সঠিক এনআইডি নম্বর ইএফটির ড্যাশবোর্ডে পুনরায় আপলোড দিন।
৯) বাবার বা মায়ের নামের বানান ভুলের ক্ষেত্রে তেমন কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয় তবে সঠিক নাম পুনরায় আপলোড করুন।
১০) যাদের শিক্ষা সনদ বাংলায় লেখা তারা এনআইডি দেখে তাদের নামের বানানের ইংরেজী অংশ ঠিক করে নিবেন।
১১) এমপিওতে এনআইডি নম্বর যদি ভুল দেওয়া থাকে তাহলেও বেতন বন্ধ হবে না তবে ইএফটিতে অবশ্যই সঠিক এনআইডি নম্বর দিতে হবে তা না হলে বেতন বন্ধ হয়ে যাবে।
১২) যার যা ভুল আছে তা ইএফটির ড্যাশবোর্ডে অবশ্যই পর্যায়ক্রমে দৃশমান করা হবে এই প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে এটা নিয়ে চিন্তার কোন কারণ নেই।
১৩) উল্লেখ যে, এখন যে সংশোধনের সময়সীমা দেওয়া হয়েছে তা কিন্তু এমপিও কারেকশনের জন্য এটা ইএফটির ড্যাশবোড কারেকশনের জন্য নয়। কারণ ইএফটির ড্যাশবোর্ডের এডিট অপশন কিন্তু এখনও চালু হয় নি। অতএব এত টেনশনের কোন কারণ নেই।
১৪) সকল ভুলের জন্য যেমন এমপিও কারেকশন করা লাগবে না তেমনি অনেক ভুলের জন্য ইএফটির ড্যাশবোর্ডের কারেকশন করাও লাগবে না। কারও শুধ এমপিও কারেকশন করা লাগবে আবার কারও শুধু ইএফটির ড্যাশবোর্ডে কারেকশন করা লাগবে।
১৫) সকল ভুলের জন্য এমপিও কারেকশনের জন্য একটি ফরোওয়ার্ডিং যথেষ্ট। তবে সেখানে সকল সমস্যা উল্লেখ করতে হবে।
১৬) এনআইডি কার্ড এর নম্বর কোন ভাবেই ১৩ ডিজিট গ্রহণযোগ্য নয়। যারা ইএফটিতে ১৩ ডিজিট দিয়েছেন তারা ইএফটির ড্যাশবোর্ডে ১৩ ডিজিটকে ১৭ ডিজিটের এনআইডি নম্বরে রুপান্তর করে পুনারায় ইএফটির ড্যাশবোর্ডে আপলোড দিবেন।
১ঁ৭) তথ্য ভুলের কারণে এখন নয় যেকোন সময় যদি আপনার বেতন বন্ধ হয়ে যায় তবে পুনরায় আবার সংশোধন করলেই চালু হয়ে যাবে।
পরিশেষে বলব যে, বেতন প্রদান কারী সংস্থা হলো আইবাস++ কর্তপক্ষ এটি একটি ফান্ড ট্রান্সফার সংস্থা এখানে কোন প্রকার সন্দেহের অবকাশ রাখা হয় না। তাই বেতন প্রদান করতে গিয়ে তাদের কাছে ছোট খাটো কোন ভুল নজরে আসে তারা সেটিকে ইগনর করে না। যেহেতেু বিষয়টি আর্থিক। সেই কারণে ক্ষণিকের সমস্যা হয়ত শিক্ষক কর্মচারীরে পরিলক্ষিত হচ্ছে তবে তা ভবিষ্যতের জন্য ভালো হবে বলে আশা করা যায়।
সংশোধনের এই তথ্য মাউশির একজন একজন কর্মকর্তার নিকট হইতে বর্ণিত তাই এটি বিশ্বাসযোগ্য হিসেবে গ্রহণ করা যেতেই পারে।
২০/০৩/২৫ সংশোধন আবেদনের শেষ সময়।
Leave a Reply