বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত সাড়ে তিন লাখ শিক্ষক-কর্মচারীদের ইলেক্ট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার বা ইএফটির মাধ্যমে ডিসেম্বর মাসের বেতন-ভাতা ৪ ধাপে প্রায় সাড়ে তিন লাখ শিক্ষক কর্মচারীদের দিয়েছে সরকার। ৫ম ধাপে ৮ হাজার ৮৮৭ জন শিক্ষক কর্মচারী বেতন পাবে সামনে সপ্তাহে। বেতন পাওয়া শিক্ষক-কর্মচারীদের মধ্যে ১ম ধাপে ১ লাখ ৮৯ হাজার প্রার্থীর তথ্যে কোনো ভুল পাওয়া যায় নি। তবে অবশিষ্ট প্রায় দুই লাখ শিক্ষক-কর্মচারীর তথ্য সংশোধন করতে হবে। নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে তথ্য সংশোধন না হলে তাদের বেতন বন্ধ হয়ে যাবে।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) জানিয়েছে, নামের বানান, জন্ম তারিখ—এ দুটি বিষয় সংশোধনের ক্ষেত্রে গুরুত্ব দিচ্ছেন তারা। এই দুটি সমস্যা সংশোধনের কোন বিকল্প নাই। এর বাইরে মোবাইল নম্বর, জাতীয় পরিচয়পত্রের সঙ্গে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট কিংবা এমপিও সিস্টেমে থাকা তথ্য একই থাকতে হবে। এছাড়া ডট, কমা, হাইফেনের বিষয়গুলো প্রতিষ্ঠান প্রধানের সঙ্গে আলোচনা করে ঠিক করতে হবে। এগুলো সংশোধনের জন্য এক মাসের মতো সময় দেওয়া হয়েছে।
জানতে চাইলে মাউশির উপ-পরিচালক (সাধারণ প্রশাসন) মোঃ শাহজাহান বলেন, ‘ইএফটিতে বেতন পাওয়া শিক্ষক-কর্মচারীদের মধ্যে যাদের তথ্যগত ভুল রয়েছে, তাদের আগামী ৬ এপ্রিল পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছিল পরবর্তীতে যদিও এ সময় বাড়ানো হয়েছে। এ সময়সীমার মধ্যে তথ্য সংশোধন করতে হবে। তথ্য সংশোধন না হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বেতন বন্ধ হয়ে যাবে। যতদিন তারা তথ্য সংশোধন করবেন না, ততদিন বেতন বন্ধ থাকবে। এখন প্রশ্ন হলো কোন ধাপের শিক্ষক কর্মচারীদের তথ্য সংশোধন করতে হবে তা অফিসিয়ালি ইএমআইএস সেল থেকে কিছু বলছে না। তারা যে তথ্য বলছে তা হলো তথ্য সংশোধন সকলেরই করতে হবে (১ম থেকে ৫ম)। তবে উল্লেখ্যও যদি তাদের ভুল থাকে। আমার জানা মতে তথ্যে ভুল থাকার পরও ১ম লটে কারও কারও বেতন এসেছে।
এখানে গুরুত্বপূর্ণ যে কথা আনঅফিসিয়ালি হলেও ইএমআইএস সেল থেকে বলেছে তা হল যাদের দাড়ি, কমা, ডট, স্পেস জনিত সমস্যা আছে তাদের এখন তথ্য সংশোধন না করলেও চলবে তারা পরবর্তীতে সংশোধন করলেও চলবে। কারণ তারা যদি এখন তথ্য সংশোধন করতে যায় তাহলে সার্ভারের উপর অনেক চাপ পড়ে যাবে তাই তাদের তথ্য তারা পরে সংশোধন করবে।
সংশোধনের ব্যাপারে আরও একটা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য যা তা হলো এই যে, শিক্ষক কর্মচারীগণ তাদের সকল তথ্যের সংশোধন তাদের সকল একাডেমিক সনদের সাথে মিলিয়ে করবে কারণ সেখানে সংশোধন যদি করতে হয় তাহলে শুধু এক জায়গায় এনআইডি কার্ড সংশোধন করলেই হবে। আর কর্মচারীগণ তাদের সংশোধন করবে তাদের এনআইডির তথ্য মতে। কারণ তাদের সনদ সংশোধন প্রক্রিয়া শিক্ষকদের সনদ সংশোধনের মত এত জটিল নয়।
পরিশেষে আবারও বলছি সংশোধন ১ম ধাপ থেকে ৫ম ধাপ সকলেরই যদি তাদের তথ্যের ভুল থাকে। না থাকলে লাগবে না।
Leave a Reply