গত ৫ অক্টোবর বর্তমান অন্তর্বতীকালীন সরকারের শিক্ষা উপদেষ্ট ঘোষনায় এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীর মধ্যে খুশির আমেজ সৃষ্টি হয় এই কারণে যে, এখন থেকে বুঝি আমাদের বেতন প্রদানের সৃষ্ট মাউশির জটিলতা নিরসন হবে। কিন্তু সেই খুশি বিষাদে পরিণত হতে খুব বেশি সময় লাগেনি অল্প দিনের মধ্যেই সেই খুশি রীতিমতো বেদনায় পরিণত হয়েছে মাউশির কিছু হটকারী সিদ্ধান্তের ফলে।
১) তাড়াহুড়া দোহাই দিয়ে শিক্ষক কর্মচারীদের ইএফটির ভোগান্তিতে ফেলা।
২) মাউশির আন্তরিকতার অভাব।
৩) ভুল তথ্যের কথা বলে দিনের পর দিন শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন আটকে রাখা।
৪) সংশোধনের জন্য ইএফটির ড্যাশবোডে এডিট অপশন চালু করার কথা বলে এখন ড্যাশবোর্ড ওপেন করেনি।
৫) এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের ইএফটি আর সরকারী শিক্ষক কর্মচারীদের ইএফটির মধ্যে বিস্তর ফারাক রয়েছে। এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের ইএফটিতে পরিস্কার মাউশির প্রভাব খাটানোর সুযোগ রয়েছে। অর্থাৎ এটা কাষ্টমাইজড ইএফটি।
প্রথমে মাউশি থেকে বলা হয়েছিল যে, ইএফটির ড্যাশবোর্ডে ভুল তথ্য প্রদানকারী সকল শিক্ষক কর্মচারীর কি কি ভুল তথ্য সনাক্ত হয়েছে তা দৃশ্যমান করা হবে। শিক্ষক কর্মচারীগণ সেই ভুল সনাক্তকৃত তথ্য দেখে সংশোধনের উদ্যোগ গ্রহণ করবে। কিন্তু পরবর্তীতে মাউশি জানায় যে, না তারা তা করবে না শিক্ষক কর্মচারীগণ তাদের ভুল নিজ দ্বায়িত্বে সনাক্ত করে সংশোধনের উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। কিন্তু সেখানেও মাউশির গাফিলতি নিজে ভুল সনাক্ত করলেও তা সংশোধন করতে হলে তো ইএফটির ড্যাশবোর্ড এর এডিট অপশন চালু করতে হবে যেখানে শিক্ষক কর্মচারীগণ তাদের সংশোধিত তথ্য আপলোড দিবে।
অবশেষে জানা গেল যে, আগামী রবিবার অথবা সোমবারের মধ্যে ইএফটি ড্যাশবোর্ডের এডিট অপশন চালু হবে। যেখানে শিক্ষক কর্মচারীগণ তাদের সংশোধিত তথ্য আপলোড দিবে।
এখন আমাদের উচিত যে সকল শিক্ষক কর্মচারীর ইএফটিতে তথ্যের সমস্যা ধরা পড়েছে তারা অতি যত্নে তথ্যগুলো সংশোধন করা এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যের ইএফটির ড্যাশবোর্ডে আপলোড দেওয়া।
Leave a Reply