★★ MPO কপিতে যে সকল ভূল থাকলে, সংশোধনের জন্য আবেদন করতে পারবেন এবং কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন হতে পারে- তা জানতে এমপিও মডিউলের কারেকশন অপশনের ৬ নং ধাপে ক্লিক করুন সেখানে কি কি কাগজপত্র লাগবে তার তালিকা দেখতে পাবেন।
১. নাম
২. জন্ম তারিখ
৩. ব্যাংক হিসাব নম্বর
৪. পে কোড
৫. পদবি সংশোধন
৬. পদবির প্রকার সংশোধন
৭. বিষয় সংশোধন
এই সংশোধন গুলো এনআইডি অনুযায়ী করবেন। যদি সার্টিফিকেটের সাথে আংশিক অমিল থাকলেও, এনআইডি অনুযায়ী সংশোধন করবেন। কারণ, অনেকের এনআইডির সাথে জায়গা জমিন, পাসপোর্ট, জন্ম নিবন্ধন, ছেলেমেয়ের জন্ম নিবন্ধন, কাবিননামা ইত্যাদির সাথে সম্পর্ক রয়েছে। কোন চিন্তা ভাবনা ছাড়াই, এনআইডি সংশোধন করবেন না। যেহেতু, আপনার এমপিও হয়ে গেছে এবং ইনডেক্স নম্বর পড়ে গেছে। সেহেতু, সার্টিফিকেটের সাথে মিলানো নিয়ে চিন্তা করবেন না। আপনার এনআইডি সংশোধন করলে, সব ঠিক হয়ে যায়, সেই ক্ষেত্রে আপনি এনআইডি সংশোধন করতে পারেন।
★★ EFT তে ভূল হলে করণীয় কি, সেটার জন্য অপেক্ষা করতে হবে ছবি নং ৬ দেখুন। ইএফটি-তে তথ্য প্রেরণ করবেন এনআইডি অনুযায়ী। সেই ক্ষেত্রে এমপিও এর কপির সাথে মিল না থাকলে, এনআইডি অনুযায়ী সংশোধন আবেদন করতে হবে। অনেকের নামে, ব্যাংক হিসাবে, জন্ম তারিখ, এনআইডি নম্বর ইত্যাদি ইএফটি-তে ভূল হয়ে গেছে। তাদেরকে আবার সংশোধনের সুযোগ দিবে। সেই সময় অবশ্যই সতর্কতার সাথে তথ্য প্রেরণ করবেন। কারিগরি যে কোন পরামর্শে জন্য ইএমআইএস সেলের হেল্পলাইনে যোগাযোগ করুন।
★★ ব্যাংক হিসাবের নাম নিয়ে অনেকেই ভূল করছেন। এই ক্ষেত্রে মনে রাখবেন যে, আপনার এনআইডি অনুযায়ী এমপিও ও ইএফটি এর তথ্য পূরণ করবেন। কিন্তু, ব্যাংক হিসাবের নামের ক্ষেত্রে কোন ডট, হাইফেন, ক্লোন ইত্যাদি দেয়া যাবে না। এনআইডি বা সার্টিফিকেট বা এমপিও কপিতে থাকলেও, ব্যাংক হিসাবে কোন সাংকেতিক চিহ্ন ব্যবহার করবেন না। সেক্ষেত্রে ব্যাংকে গিয়ে নাম ঠিক করে নিবেন। ব্যাংকের নাম ভূলের জন্য এমপিও তে সংশোধনের আবেদন করার দরকার নাই।
★★ প্রিয় শিক্ষকগণ! আবেগে পড়ে, প্রজ্ঞাপণ সম্পূর্ণ না পড়ে, হঠাৎ করে কোন সিদ্ধান্ত নিবেন না এবং দুশ্চিন্তাও করবেন না। আপনি নিশ্চিত থাকেন যে, আপনার বেতন ভাতা পাবেন। হয়ত, দুই/ তিন মাস সময় লাগতে পারে। পূর্বে আমার একটা পোস্ট ছিল। তার পরিপূরক/ সম্পূরক/ সংশোধন হিসেবে এই পোস্টটি দেয়া হলো। আশা করি, আপনারা উপকৃত হবেন।
সংগৃহিত
Leave a Reply