এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের ইএফটি নিয়ে নাটকের শেষ নাই। আগের কাজ পরে আরও পরের কাজ আগে এটা এদেশের আমলা সরকারী চাকুরীজিবীদের চিরাচারিত নীতি। এসমস্ত নীতি জ্ঞানহীন কাজকর্মের জন্য সরকারকে যে প্রতিনিয়ত বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হয়ে সেটাও কিন্তু তারা ভাল করে জানে। তারপরও তারা তাদের কাজ তাদের মতো করে করেই চলেছে।
শিক্ষকদের মাস শেষ হয়ে নতুন মাস আসতে চলেছে বেতন নাই। সংশোধনের তথ্য প্রকাশ করতে হবে তার কোন খবর নাই। সেদিকে কারও খেয়াল নাই। শিক্ষকদের তথ্য সংশোধন করা লাগবে তার জন্য পর্যাপ্ত দিক নির্দেশনা নাই।
মাউশির শিক্ষকদের কল্যানকর কাজ নিয়ে প্রশ্ন অতীতেও ছিল আরও এবারে ইএফটি নিয়ে মাউশির অব্যবস্থাপনা ও অকার্যকর ভুমিকা নিয়ে যথেষ্ট প্রশ্ন করাই যায়।
এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের জন্য এখন সবার আগে যা দরকার তাহলো জানুয়ারীর বেতন আর সংশোধন তথ্য ইএফটির ড্যাশবোর্ডে প্রকাশ। মাউশি শিক্ষক কর্মচারীদের প্রয়োজনীয়তা বুঝে না নাকি বুঝেও ইচ্ছাকৃত জটিলতা তৈরি করতে চায়।
ইএফটির ড্যাশবোর্ডে বিল সাবমিশনের অপশন চালু করার পর একটি বিষয়ে পরিস্কার ধারণা পাওয়া গেল তা হল এই যে, এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের ইএফটি সরকারী কর্মকর্তা কর্মচারীদের মত হচ্ছে না। এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের ইএফটি মাউশির দ্বারা কাষ্টমাইজেশনকৃত ইএফটি এখানে সম্পুর্ণ নিয়ন্ত্রণ থাকছে মাউশির হাতে। যা নিয়ন্ত্রণ করবে প্রতিষ্ঠানের প্রধান ম্যানেজিং কমিটি দ্বারা প্রভাবিত হয়ে। এর দ্বারা যা বোঝা যায় তা হলো পূর্বেও যা ছিল তার চেয়ে খুব বেশি ভাল হবে বলে মনে হয় না।
Leave a Reply