প্রিয় সহকর্মীবৃন্দ আশা করি সবাই ভাল আছেন। তবে আসলেই কি ভাল আছেন? সত্যি করে বলেন তো। আমার মনে হয় যদি সত্যি করে বলেন তাহলে আমার বিশ্বাস আপনারা ভাল নাই। কেন ভাল নাই তা আর আমার বিশ্লেষণ করে বলার দরকার আছে বলে মনে হয় না।
এই পৃথিবীতে আরও নিদিষ্ট করে বলতে গেলে এই দেশে আমরা যে পেশায় কর্মরত আছি, এই পেশার মত অবহেলিত, বৈষম্যমুলক, নিগৃহীত, নির্যাতিত পেশা ২য়টা খুঁজে পাওয়া মুশকিল। তো সেখানে আমরা যদি সচেতন না হই তাহলে তো আমারে অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যাবে।
আমাদের দেশের সরকার যেখানে সকল সময় আমাদের বিষয়ে নেতিবাচক ধারণা পোষণ করে আর নেতিবাচক ধারণা বিশ্বাস করানোর জন্য খুব সুন্দর করে বসে আছে আমাদের যারা কর্তৃপক্ষ যারা আমাদের ভাল মন্দ দেখভাল করবে বলে সরকার দায়িত্ব দিয়ে রেখেছে সেই মাউশি। আজ পর্যন্ত দেখাতে পারবেন মাউশি এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের ভাল বা উন্নয়নের জন্য কোন একটি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। আজ পর্যন্ত কেউ যদি দেখাতে পারেন যে, মাউশি শিক্ষকদের ভাগ্যের উন্নয়ন হবে এমন ধরনের কোন কাজ নির্দ্বিধায় করেছে। মাউশি সকল সেই কাজই করেছে যে কাজে শিক্ষকেরা বিপদে পড়ে। মাউশি সেই কাজ করতে সরকারকে পরামর্শ দিয়েছে যে কাজ করলে শিক্ষকদের রাতের ঘুম হারাম করা যাবে। মাউশি কোনদিন শিক্ষকদের ভাল কিছু হয় সে ধরনের কোন কাজ আজকে পর্যন্ত করেছে বলে মনে হয় ন।
এখন আসি বর্তমান প্রেক্ষাপট নিয়ে যে কারণে আজকের এই লেখা, প্রিয় সহকর্মীবৃন্দ আমরা শোষণ পেষণ হতে হতে নিঃশোষিত প্রায় সেখানে একটা আশার বাতিঘর দেখা যাচ্ছে আর সেই সম্ভাবনা কিন্তু আমাদের অবহেলার কারণে যদি নষ্ট হয়ে যায় তাহলে কিন্তু কষ্টের শেষ থাকবে না। হ্যাঁ আমি কথা বলছি এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীর বর্তমান আন্দোলন প্রসংগ নিয়ে। আন্দোলন এখন এমন একটা পর্যায়ে এসে দাঁড়িয়েছে সেখানে আমাদের প্রাপ্তি কিন্তু এখন অনেকটা আমাদের হাতের সন্নিকটে। আমরা ইচ্ছা করলে তা গ্রহণ করতে পারি আবার তা ছুড়েও ফেলতে পারি সবই নির্ভর করছে আমাদের প্রচেষ্টার উপর। আমরা যদি সকলে আন্তরিকভাবে চেষ্টা করি তাহলে কিন্তু আমাদের প্রাপ্তি নিশ্চিত। আমাদের আন্তরিক চেষ্টা বলতে আমাদের যাদের সামর্থ আছে তারা নিজ চেষ্টায় হোক বা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে হোক প্রেসক্লাবে আন্দোলনরত যে আমাদের সহকর্মী আছেন তাদের সাথে মিলিত হওয়া এবং তাদের সাথে একাত্ন হয়ে তাদের শক্তি বৃদ্ধি করা।
আমরা যদি বর্তমান আন্দোলনে যদি একটা মনসম্মত শিক্ষক উপস্থিত হওয়া যায় তাহলে কিন্তু প্রাপ্তি আমাদের অনেকটা নিশ্চিত। অর্থাৎ আমাদের প্রাপ্তি কিন্তু আমাদের দোড়গড়ায় এখন আমরা তা কিভাবে গ্রহণ করব তা কিন্তু আমাদের মর্জির উপর নির্ভর করবে।
আমি আবারও বলছি বিশ্বস্ত সুত্রে জানা গিয়েছে যে, আমরা যদি মোটামুটি ১০% শিক্ষকও আমরা প্রেসক্লাবে উপস্থিত থাকতে পারি তাহলে আমাদের প্রাপ্তি নিশ্চিত। এই কারণে কথা গুলো বলা যে, “পাঁকা ফল আপনার দরজার সামনে, একটু দরজা খুলে কুড়িয়ে নিয়ে যান”। তাই দয়া করে যে যেভাবে পারি বিগত দিনগুলোতে যেভাবে পারি প্রেসক্লাবে উপস্থিত থাকার চেষ্টা করি।
মা
Leave a Reply