এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন প্রদানের অনেক বড় আশা ভরসার প্রতীক হবে বলে ধারণা করা হয়েছিল ইএফটি। কিন্তু সেই ইএফটি যে এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের জীবনে এত জটিলতা বয়ে নিয়ে আসবে তা কিন্তু কারও ধারণাতেও ছিল না। কারণ অন্যান্য সকল সরকারী প্রতিষ্ঠানে ইএফটি মাধ্যমে বেতন প্রদান শুরু করার কারণে কারও তেমন কোন জটিলতা তৈরী হয়নি সেই ধারাবাহিকতায় এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীরাও ভেবেছিল যে, আমাদেরও তেমনি হবে।
এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন প্রদানের জটিলতা দীর্ঘদিনের সমস্যা এটা নতুন কোন সমস্যা নয়। তাই এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীরা ভেবেছিল যে, ইএফটি আমাদের হয়ত সেই সমস্যা থেকে চিরতরে মুক্তি দিবে। আমরাও হয়ত এখন হতে প্রতি মাসের শুরুতে বা মাসের ১ তারিখে আমাদের বেতন ব্যাংক একাউন্টে জমা হবে।
সেই আশা মিলিয়ে যেতে বা ম্লান হতে সময় লাগে নি। ডিসেম্বর মাসের বেতন জানুয়ারী মাসে যেদিন প্রদান করা শুরু হল সেদিন হতে শুরু হলো এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের জীবন বেতন প্রাপ্তির নতুন এক জটিলতা যার নাম ইএফটি। ভাবতে পারেন এখন পর্যন্ত এমন অনেক শিক্ষক রয়েছে যারা কিনা এখনও ডিসেম্বর মাসের বেতন পায়নি। এই ইএফটি জটিলতার ফাঁদে পড়ে।
আইবাস ডাবল প্লাস সফটওয়্যারের ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফারে এমপিও শিক্ষকদের বেতন দেয়ার অংশ হিসেবে ডিসেম্বরের ৭ম ধাপ, জানুয়ারির ৪র্থ ধাপ, ফেব্রুয়ারির ৩য় ধাপ ও মার্চের ২য় ধাপের বেতনের প্রস্তাব আগামী সপ্তাহে মন্ত্রণালয়ে যাবে। এই কার্যক্রম আরো আগে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তা টেকনিক্যাল কারণে বিলম্ব হচ্ছে। এই টেকনিক্যাল কারণ প্রতিমাসেই নতুন নতুন করে দেখা দেয় না কি তৈরী করা হয় সেটাই সবচেয়ে বড় প্রশ্ন।
যাই হোক মাউশির প্রতি এখন সবচেয়ে বড় আবেদন ও নিবেদন এই যে, এই ৭ম ধাপের শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন অতি দ্রুত থেকে দ্রুততর সময়ের মধ্যে প্রেরণের ব্যবস্থা করুন যাতে এই সকল শিক্ষক কর্মচারীদের দুর্দশা দুর হয়। একটু মানবিক হওয়ার চেষ্টা করুন।
Leave a Reply