1. admin@kp-nat.com : admin : Ayub Ali
  2. ayub.bhs@gmail.com : Ayub ali : Ayub ali
মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ০২:৫৫ অপরাহ্ন

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দয়াভিক্ষার বেতন ও আজীবনের অপরিবর্তনীয় উৎসব ভাতা নিয়ে যা জানালো মাউশি।

  • Update Time : রবিবার, ১৬ মার্চ, ২০২৫
  • ২৬৬৯ Time View
দয়াভিক্ষার বেতন ও আজীবনের অপরিবর্তনীয় উৎসব ভাতা নিয়ে যা জানালো মাউশি।

এবার আবার এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন ও বোনাস নিয়ে নতুন খবর প্রকাশ করল মাউশি যে, বেসরকারি স্কুল-কলেজে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের ফেব্রুয়ারি মাসের বেতন ও উৎসব ভাতা আলাদা আলাদা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাদের বেতন-ভাতা দেওয়ার বিষয়ে একটি রূপরেখা তৈরি করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) এডুকেশন ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (ইএমআইএস) সেল। রূপরেখা অনুযায়ী, চলতি সপ্তাহে শিক্ষক-কর্মচারীদের ফেব্রুয়ারি মাসের বেতন দেওয়া হতে পারে।

আগের ফ্যাসিবাদি সরকারের ফ্যাসিষ্ট শিক্ষামন্ত্রী শিক্ষকদের বিভিন্ন দাবী দাওয়া নিয়ে বলত যে, গবেষণার প্রয়োজন। গবেষণা করে দেখতে হবে শিক্ষকদের দাবী পূরণ করলে রাষ্ট্রের কতটুকু কি লাভ ক্ষতি হবে। আর বর্তমান মাউশি ডিজি সাহেব কেবল শিক্ষকদের বেতন বোনাস নিয়ে রূপরেখা প্রণয়ন করেছেন। এখন এই রূপরেখার বাস্তবায়ন কখন কিভাবে হয় তা দেখার পালা। তাহলে কি এতদিন থেকে আমরা যে বেতন ও বোনাস পাই তার কোন রূপরেখা মাউশির নিকট নাই। আমরা যা চাই তা মাউশি আমাদের দিয়ে দেয়। মাউশি তার খেয়াল খুশি মত আমাদের বেতন বোনাস দেয়। তাহলে কি ধরে নেব যে, শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন বোনাস নিয়ে যে, জটিলতা তার দায় একমাত্র মাউশির। মাউশির ডিজির বক্তব্য থেকেই তাদের সেচ্ছাচারিতার প্রমাণ কিন্তু মেলে। মাউশি যে, এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন বোনাস নিয়ে নিজের ইচ্ছামত সিদ্ধান্ত প্রদান করে তার প্রমাণ সহ তুলে ধরব অন্য একদিন। আজ আসি বর্তমান প্রসংগ নিয়ে।

এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন ও উৎসব ভাতা নিয়ে জানতে চাইলে মাউশি ডিজি প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আজাদ খান বলেন, ‘শিক্ষক-কর্মচারীদের ফেব্রুয়ারি মাসের বেতন চলতি সপ্তাহে দেওয়া হতে পারে। এ বিষয়ে ইএমআইএস সেল থেকে আমাকে একটি লিখিত ফরম্যাট দেওয়া হয়েছে। ১ম-১৫ম ধাপের বেতন চলতি সপ্তাহে ছাড় করা হতে পারে। আগামী ২০ মার্চের মধ্যে তারা বেতন পেতে পারেন।

প্রশ্ন হলো আর কত কাল এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীরা তাদের প্রাপ্য ন্যর্য পাওনাদি নিয়ে জানতে চাইলে শুনতে হবে চেষ্টা করা হবে, পাওয়া যেতে পারে, আগামী সপ্তাহের মধ্যে হতে পারে, আমরা কাজ করে যাচ্ছি, আমাদের জনবল সীমিত ইত্যাদি ইত্যাদি। আসলে এগুলো হলো সেচ্ছাচারিতা তথা দায়িত্বকে অবহেলা ও দয়িত্বকে পাশ কাটিয়ে চলার একটা উপলক্ষ মাত্র।

আরও পড়ুন: আর কত কাজ করলে কাজ ফুরাবে মাউশির

বেতন চলতি সপ্তাহে হলে শিক্ষক-কর্মচারীদের উৎসব ভাতা কবে নাগাদ ছাড় করা হতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, চলতি সপ্তাহে বেতন ছাড় করতে পারলে আগামী সপ্তাহের শুরুর দিকেই শিক্ষক-কর্মচারীদের উৎসব ভাতাও ব্যাংকে পাঠানো হবে। খুব সম্ভবত ২২ মার্চের পর তারা উৎসব ভাতা পাবেন।

চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে যদি বেতন পাওয়া যেতে পারে তাহলে বোনাস আগামী সপ্তাহে পাওয়া যাবে। আর চলতি সপ্তাহে বেতন না পাওয়া গেলে তাহলে বোনাস কি ঈদের পর পাওয়া যাবে। এসকল দায়সার মুলক কথাবার্তা আর কতকাল কতদিন শুনতে হবে এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের কেউ বলতে পারেন। এসকল ছেলেভুলানো কথাবার্তা দিয়ে মাউশি কতকাল নিজেদের অপরাধের বোঝা ভারি করবে উত্তর কে দিবেন। এ সমস্ত অন্যায় ও অপরাধ মুলক বিবৃতির কোন প্রতিকার কি কোনদিন হবে না।

বেসরকারি শিক্ষকরা ৩ হাজার ১২৫ টাকা উৎসব ভাতা পান। এই অর্থ দিয়ে তারা কার জন্য কেনাকাটা করবেন? শতভাগ উৎসব ভাতার দাবি আপনি সমর্থন করেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আজাদ খান বলেন, ‘বেসরকারি শিক্ষকরা উৎসব ভাতা বৃদ্ধির বিষয়ে আন্দোলন করেছেন। তাদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে সরকার ভাতা বৃদ্ধির কথা বলেছে। এখন কতটাকা বাড়াবে সেটি সরকার ভালো বলতে পারবে। তবে শিক্ষকদের ভাতা বাড়ানো উচিত।’

আরও পড়ুন: উৎসব যেন আজীবনের অভিশাপ’

জানা গেছে, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ইএফটির মাধ্যমে বেতন-ভাতা পান। তবে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা সরকারি কোষাগার থেকে ছাড় হলেও তা রাষ্ট্রায়ত্ত আটটি ব্যাংকের মাধ্যমে ‘পুরানো বস্তা পচা’ পদ্ধতিতে ছাড় হয়। এই অর্থ তুলতে শিক্ষকদের নানা ভোগান্তিতে পড়তে হতো। ভোগান্তি যে এখনও বিদ্যমান, ভোগান্তি এখন আবার নতুন রূপে ফিরে এসেছে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি তার তেমন কোন সদুউত্তর দিতে পারেননি। শুধু বলেছেন এ সমস্যা সাময়িক পরবর্তীতে এ সমস্যা থাকবে না।

এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন ভাতা প্রদান নিয়ে জটিলতা নিরসনের লক্ষ্যে গত ৫ অক্টোবর বিশ্ব শিক্ষক দিবসে ইএফটিতে বেসরকারি শিক্ষকদের এমপিওর বেতন-ভাতা দেওয়ার ঘোষণা দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। প্রাথমিকভাবে বেসরকারি এমপিওভুক্ত স্কুল-কলেজের ২০৯ জন শিক্ষক-কর্মচারীর অক্টোবর মাসের এমপিও ইএফটিতে ছাড় হয়। পরবর্তী সময়ে গত ১ জানুয়ারি ১ লাখ ৮৯ হাজার শিক্ষক ইএফটির মাধ্যমে বেতন-ভাতার সরকারি অংশের টাকা পেয়েছেন। দ্বিতীয় ধাপে ৬৭ হাজার, তৃতীয় ধাপে ৮৪ হাজার এবং চতুর্থ ধাপে ৮ হাজার ২০০ এর অধিক শিক্ষক-কর্মচারীকে ডিসেম্বর মাসের বেতন দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে তারা জানুয়ারি মাসের বেতনও পেয়েছেন। তবে তাদের ফেব্রুয়ারি মাসের বেতন এখনও হয়নি।

অন্যদিকে ৫ম ধাপে ৮ হাজার ৮৮৭ জন এবং নতুন এমপিওভুক্ত হওয়া ৩ হাজারের কিছু বেশি শিক্ষক-কর্মচারী এখনো ডিসেম্বর মাসের বেতন পান নি। চলতি সপ্তাহে তারাও বেতন-ভাতা পেতে পারেন বলে জানা গেছে।

মাউশি শুধু জানায় সময় আর সময়। কিন্তু এ সময় শেষ আর হতে চায় না। কিন্তু সবকিছুরই একটা শেষ আছে শেষ হওয়া দরকার। এখন দেখা যাক সেই সুদিন কোনদিন আসে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আমার খবর
© All rights reserved © 2025 Kisukhoner Pathshala
Customized By BlogTheme