1. admin@kp-nat.com : admin : Ayub Ali
  2. ayub.bhs@gmail.com : Ayub ali : Ayub ali
বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫, ০৮:২৭ অপরাহ্ন
Title :
সরকারী চাকুরীজীবিদের প্রাপ্ত সুযোগ সুবিধা ও এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের প্রাপ্ত সুযোগ সুবিধা। আন্দোলনে সকলের প্রাপ্তির খাতা ভরা, কেবল এমপিওভুক্ত শিক্ষক ছাড়া। কিন্তু কেন? নতুন এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বেতন নিয়ে যা জানালো মাউশি। সরকারী শিক্ষক কর্মচারী বনাম এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারী! এ কেমন বৈষম্য? এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের ফেব্রুয়ারির বেতন ও বোনাস নিয়ে মাউশির আশ্বাস। ইএফটির ৫ম ধাপের শিক্ষক কর্মচারীর বেতনের খবর। সংশোধনের পরিপূর্ণ নির্দেশিকা ১০০% Authentic. এই এডিট অপশন কতটুকু সাহায্য করবে সংশোধনীর জন্য? সংশোধন কিন্তু সবার লাগবে তবে…… এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারী সুযোগ সুবিধা কতটুুকু বাড়ছে?

সরকারী চাকুরীজীবিদের প্রাপ্ত সুযোগ সুবিধা ও এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের প্রাপ্ত সুযোগ সুবিধা।

  • Update Time : মঙ্গলবার, ১১ মার্চ, ২০২৫
  • ১০৫২ Time View
সরকারী চাকুরীজীবিদের প্রাপ্ত সুযোগ সুবিধা ও এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের প্রাপ্ত সুযোগ সুবিধা।

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের উৎসব ভাতা ব্যবস্থায় চরম অস্থিরতা এবারো কাটলনা।কারো বোনাস ৪ আনা,কারো ৮ আনা আবার কারো ১৬ আনা আসন্ন ঈদ উল ফিতরেও বলবৎ থাকবে।অথচ গত ফেব্রুয়ারি মাসের দশ তারিখে সদ্য বিদায়ী শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ বলেছিলেন এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের উৎসব ভাতা, বিনোদন ভাতা, চিকিৎসা ভাতা, বাড়িভাড়া ও অন্যান্য সুবিধা যতটুকু সম্ভব বাড়ানো হবে।এরই মধ্যে জাতীয় প্রেস ক্লাবে মাদরাসা শিক্ষকদের একাংশ দেলোয়ার হোসেন আজিজির নেতৃত্বে গত প্রায় ২২দিন ধরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন।কিন্তু আজ ২৫ দিন পর শিক্ষা উপদেষ্টা মহোদয় আগের বক্তব্যকেই পুনরায় ব্যক্ত করে বললেন এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের উৎসব ভাতা, বিনোদন ভাতা, চিকিৎসা ভাতা, বাড়িভাড়া এ বছরের ঈদুল আজহা থেকে শুরু করে আগামী বছরের বাজেটে অন্তত কিছু বাজেটে বাড়াতে পারবো।উৎসব ভাতা শতভাগ হবে কিনা,বিনোদন ভাতা, চিকিৎসা ভাতা ও বাড়িভাড়ার পরিমান কতটুকু হবে তাও তিনি স্পস্ট করলেন না।বরং তিনি অনেকটা অনিশ্চয়তা নিয়েই বললেন কতটুকু সুবিধা বৃদ্ধি পাবে আমি এখন ঘোষণা দিচ্ছি না। এ বছর এবং আগামী বছরের বাজেটের মধ্যে প্রবিশন রাখা হচ্ছে।

আরও পড়ুন… সরকারী শিক্ষক কর্মচারী বনাম এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারী! এ কেমন বৈষম্য?

অর্থাৎউপদেষ্টা মহোদয়ের ২৫ দিন আগের বক্তব্য ও পরের বক্তব্য প্রায় একই রকমের।পার্থক্য শুধু ঈদ উল আযহা নামক শব্দ উল্লেখ।উপদেষ্টা বলেন, ‘অবসর ও কল্যাণ ভাতার জন্য একটি ফান্ড এ বছরই কিছুটা তৈরি করা হয়েছে। আগামী বাজেটে আরও হবে। এটি টেকসই করতে হলে এক-দুটি বাজেটে হবে না, ভবিষ্যতে হয়ে যাবে বলেও আশ্বস্ত করলেন।যেহেতু শিক্ষকদের সুবিধা কতটুকু বাড়বে তা এখনো নির্ধারন হয় নি সেহেতু কথা হচ্ছে শিক্ষকদের প্রত্যাশা কতটুকু সরকারের কাছে।শিক্ষকদের প্রত্যাশা হল শতভাগ উৎসব ভাতা,৪৫% বাড়ি ভাড়া,২০% চিকিৎসা ভাতা এবং জাতীয়করন।যদি ঈদ উল আযহা থেকে উৎসব ভাতা শতভাগ না হয় এবং উপরে উল্লেখিত ভাতা সমূহ প্রত্যাশা অনুযায়ী না হয় তাহলে ভাতার এই অস্থিরতা ও বৈষম্য যেমনি চরম অসন্তোষ তৈরি করতে পারে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের মাঝে তেমনি অস্থিরতা বাড়াতে পারে শিক্ষক,শিক্ষাঙ্গন ও শিক্ষার গুনগত মানের মাঝে ও।

দেশে এখন এমপিওভুক্ত স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৩০ হাজারেরও বেশি।অর্থাৎ তা দেশের মোট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৯৭ শতাংশ।এসব প্রতিষ্ঠানে প্রায় ছয় লাখ শিক্ষক-কর্মচারীর পদ রয়েছে। এর মধ্যে শিক্ষক আছেন প্রায় সাড়ে চার লাখ। কর্মচারী আছেন প্রায় দেড় লাখ। এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকদের বেসিক বেতনের পুরো অংশ, সরকারি বিধি অনুযায়ী মূল বেতনের ২০ শতাংশ বৈশাখী ভাতা এবং বার্ষিক ৫ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট, বাড়িভাড়া বাবদ মাসে এক হাজার টাকা এবং চিকিৎসা ভাতা বাবদ ৫০০ টাকা সরকার দিলেও দুই ঈদে শিক্ষকদের জন্য মাত্র ২৫ শতাংশ এবং কর্মচারীদের জন্য ৫০ শতাংশ উৎসব ভাতা বিগত ২২ বছর যাবত দেওয়া হত।এদিকে শিক্ষকদের শতভাগ ঈদ বোনাস বিষয়ে মন্ত্রণালয় ও মাউশি লুকোচুরি অতীতে ও দৃশ্যমান ছিল।সেই শংকা থেকেই শিক্ষকরা শতভাগ উৎসব ভাতা পাওয়ার বিষয়ে উপদেষ্টা মহোদয়ের স্পস্ট বক্তব্য না পাওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন।

এদিকে মুদ্রাস্ফীতি, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বর্তমান বাজারে এমপিভুক্ত শিক্ষকরা আসন্ন ঈদ উল ফিতরকেই অভিশপ্ত ভাবছে। একজন সহকারী শিক্ষক বেতন হিসেবে সব মিলিয়ে ১২ হাজার ৭৫০ টাকা সাথে ঈদ বোনাস হিসেবে মাত্র তিন হাজার ১৫০ টাকা যেটুকু পান তা যে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্বল্প যোগ্যতার পিয়নের বেতনের চেয়ে ও কম।

একথা সবারই জানা ২০০৫ সালে রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে শতভাগে উন্নীত করা হয় এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বেতন। শিক্ষকদের আন্দোলন ও দাবির মুখে ২০০৩/০৪ সালে তৎকালীন সরকার তাৎক্ষণিকভাবে শিক্ষকদের ২৫ শতাংশ এবং কর্মচারীদের ৫০ শতাংশ উৎসব ভাতা যখন দিয়েছিলেন, তখন আশ্বাস দেয়া হয়েছিল, পরবর্তী অর্থবছরে এ খাতে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ রেখে শিক্ষকদের শতভাগ উৎসব ভাতা দেয়া হবে। কিন্তু গত ২২ বছরে ও সে আশ্বাস সফলতা দেখে নি। এবারো বিদায়ী শিক্ষা উপদেষ্টার আশ্বাস আমাদের কতটুকু প্রত্যাশা পূরন করে সেটিই এখন ভাবনার বিষয়।

একথা সত্য যে, বিতাড়িত ফ্যাসিবাদী শক্তির বিপুল অর্থ পাচার, জুলাই বিপ্লব পরবর্তী সময়ে আর্থিক খাতের অব্যবস্থাপনা,ব্যালেন্স অব পেমেন্ট এবং বৈদেশিক মুদ্রা,রাজস্ব আদায় ও আয়-ব্যয়ের ঘাটতি ,মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ,জনতুষ্টি আর অর্থনীতি রক্ষার মত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে সরকারকে ।কিন্তু শিক্ষকদের ভাতে ও সন্মানে মারার সংকট উল্লেখিত চ্যালেঞ্জ থেকে কম কিসের?

একথা সত্য যে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের শতভাগ উৎসব ভাতা, বিনোদন ভাতা, চিকিৎসা ভাতা ও বাড়ি ভাড়া বৃদ্ধির এ আন্দোলন শুধু মাত্র গত ২২ দিন ধরে প্রেস ক্লাবে সংঘটিত দাবীর প্রেক্ষাপটে নয় বরং বিগত ২২ বছরে সকল শিক্ষক সংগঠনের প্রাণের দাবী ছিল।হারুন অর রশিদ- ফিরোজ আলমের নেতৃত্বাধীন বিএমজিটিএ,অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া স্যারের নেতৃত্বাধীন শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোট,মাদরাসা শিক্ষক পরিষদ,আদর্শ শিক্ষক পরিষদ,জমিয়াতুল মোদাররেসিন,বিটিএ,বাসিস,শিক্ষক ইউনিয়ন,গত ২২ দিন ধরে প্রেস ক্লাবের সফল সংগঠক আজিজির নেতৃত্বে জাতীয়করন প্রত্যাশী জোট সহ সকল শিক্ষক সংগঠন বিগত ২২ বছরে হাজার হাজার সেমিনার,মানববন্ধন,আলোচনাসভা,প্রেস ক্লাব কর্মসূচী,সংবাদ সম্মেলন সহ ইত্যাদি কর্মসূচী পালন করেছিলেন শিক্ষকদের শতভাগ উৎসব ভাতা, বিনোদন ভাতা, চিকিৎসা ভাতা ও বাড়ি ভাড়া বৃদ্ধির জন্য।

সরকারি চাকুরিজীবিদের প্রতি বিদ্বেষ থেকে নয় বরং সকলের জ্ঞাতার্থে বলছি সরকারি চাকুরিজীবিদের প্রধানত ২টি উৎসব ভাতা থাকে।আর তা মূল বেতনের সমপরিমান। তাদের জন্য আরো রয়েছে ৪৫% মাসিক বাড়ি ভাড়া,নববর্ষের ২০% উৎসব ভাতা, প্রতিমাসের বেতনের সাথে এক সন্তান থাকলে কমপক্ষে ৫০০ টাকা,দুই সন্তান হলে ১০০০ টাকা, শিক্ষা সহায়তা ভাতা, চিকিৎসা ভাতা মাসিক সর্বনিন্ম ১৫০০ টাকা থেকে ২৫০০টাকা ,মৃত্যু বরন করলে পরিবার পাবে সাড়ে আট লাখ টাকা ভাতা।এর পাশাপাশি সরকার প্রদত্ত ৪০০ টাকা স্বাস্থ্য ও দূর্ঘটনা বীমা ।১০ নাম্বার থেকে ১৬ নাম্বার গ্রেডে চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে যাতায়াত ভাতা মাসে ৩৬০ টাকা।৩ নং গ্রেডের উপরের কর্মকর্তাদের জন্য গাড়ি সুবিধার সুপারিশ করা হয়েছে। পাশাপাশি ৪র্থ গ্রেডের কর্মকর্তাদের গাড়ি কেনার বিষয়টি বিবেচনার জন্য সুপারিশ করা হয়েছে।মাসে টিফিন ভাতা ৩০০ টাকা। এছাড়া রয়েছে শ্রান্তি ও বিনোদন ভাতা।সকল শ্রেণীর সরকারি চাকরিজীবীকে বর্তমান প্রচলিত প্রতি তিন বছরের স্থলে ২ বছর অন্তর ১৫ দিনের গড় বেতনে অর্জিত ছুটিসহ ১ মাসের মূল বেতনের সমপরিমাণ অর্থ শ্রান্তি ও বিনোদন ভাতা হিসাবে সুপারিশ করা হয়েছে।৪র্থ শ্রেণীর চাকরিজীবীদের জন্য ধোলাই ভাতা মাসে ১৫০ টাকার সুপারিশ করা হয়েছে।কার্যভার ভাতা সর্বোচ্চ সীমা মাসে ২ হাজার ৫০ টাকা উন্নীত করা হয়েছে।রয়েছে গৃহকর্মী ভাতা,পোশাক পরিচ্ছদ সুবিধা,২০% হারে পাহাড়ি ও দুর্গম ভাতা। হাওড়-বাওড়, দুর্গম দ্বীপ অঞ্চলে উপকূলীয় ভাতা।

উচ্চ পদস্থদের জন্য রয়েছে আপ্যায়ন ভাতা।মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও মূখ্য সচিব ৩ হাজার টাকা, সচিব ও সমপর্যায়ের কর্মকর্তা ২ হাজার ৫০০ টাকা, অতিরিক্ত সচিব ও সমপর্যায়ের কর্মকর্তা ২ হাজার টাকা, যুগ্ম সচিব ও সমপর্যায়ের কর্মকর্তাদের ১ হাজার ৫০০ টাকা সুপারিশ করা হয়েছে।রয়েছে ভ্রমণ ভাতা।বদলিজনিত ভ্রমণ ভাতা, এককালীন সড়ক পথে ১০০ কি.মি. পর্যন্ত ১০ হাজার টাকা, ১০১ থেকে ২০০ কি.মি. পর্যন্ত ১৫ হাজার ৫০০ টাকা, ২০১ থেকে এর বেশি কি.মি. হলে ২০ হাজার টাকা ভ্রমণ ভাতা। আরো রয়েছে পেনশনযোগ্য চাকরিকাল। প্রথম গ্রেড থেকে ১৬ গ্রেড পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে পেনশনযোগ্য চাকুরিকাল ৫ বছর থেকে শুরু করে ২৫ বছর ।এ সময় পেনশনের হার গ্রেড অনুযায়ী ২০ শতাংশ থেকে গ্রেড অনুযায়ী ৯০ শতাংশ ।রয়েছে আবাসন ও গৃহ নির্মাণ ঋণ প্রজেক্ট।সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য ঋণের পরিমাণ গ্রেড অনুযায়ী ১২ লাখ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা গৃহ ঋণ দেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।এক্ষেত্রে সুদের হার হবে ব্যাংক রেটে ৫ শতাংশ। এর পাশাপাশি জেলা পর্যায়ে খাস জমি চিহ্নিত করে সরকারি চাকরিজীবীদের আবাসনের জন্য প্রকল্প গ্রহণ করা।৮ম থেকে ১ম গ্রেড স্কেলের কর্মকর্তাদের ২০ জনের জন্য ১০ কাঠা ও অন্যান্য চাকরিজীবী প্রতি ২০ জনের জন্য ৮ কাঠা প্লট দেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। এছাড়া আরো অনেক সুবিধাই রয়েছে।

উপরিউক্ত সুযোগ সুবিধা তারা পান আমি মনে প্রানে তা চাই ও বটে।একজন মানুষ পরিবার পরিজন নিয়ে ভালভাবে জীবন ধারনের জন্য উপরিউক্ত সুবিধা সমূহ অপরিহার্য।কিন্তু সমস্যা হল এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের ক্ষেত্রে।

সরকারি চাকুরিজীবিদের বোনাস মুল বেতনের ১৬ আনা হলে ও বেসরকারি শিক্ষকদের বেলায় তা ৪ আনা ও কর্মচারিদের বেলায় তা ৮ আনা পরিমাণ ছিল প্রচন্ড কষ্টের।অথচ উৎসবের রং সবার জন্য একই ছির।

বাজেট থেকে বলছি,বর্তমানে এমপিভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন, বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট ও উৎসব ভাতা বাবদ রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে বছরে ব্যায় হয় প্রায় ৯ হাজার ১০০ কোটি টাকা । এটাকে ১৫ হাজার কোটি টাকায় নিতে পারলে জাতীয়করণ অনায়াসে সম্ভব। অর্থাৎ স্মার্ট শিক্ষক গঠনে জাতীয়করনের জন্য বাড়তি প্রয়োজন প্রায় ছয় হাজার কোটি টাকা।

অন্যদিকে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের তথ্যসূত্রে জানা যায়, ত্রিশ হাজারের বেশি এমপিওভুক্ত বেসরকারি স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা শিক্ষকদের উৎসব ভাতা শতভাগকরনে প্রয়োজন প্রায় এক হাজার একশত কোটি টাকা। বর্তমানে এ খাতে সরকারি বরাদ্দ প্রায় সাড়ে তিনশত কোটি টাকার কাছাকাছি।

বাড়তি প্রয়োজন প্রায় সাড়ে সাত শত কোটি টাকা।এই টাকা থোক বরাদ্দ দিলেই ৫ লক্ষ এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারির মুখে তৃপ্তির হাসি, মানে চলমান রমযানেই সমস্যা সমাধান সম্ভব।

এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা কখনোই  তাদের প্রিয়জনদের যেমনি উৎসবে হাসাতে পারে নাই, তেমনি প্রিয়জনদের নিয়ে উৎসবে মেতে উঠতে ও পারে নাই।তাই প্রত্যাশা আসন্ন আগামির বাজেটে মোট বাজেটের ২০ শতাংশ শিক্ষা খাতে বরাদ্দ রেখে উৎসব ভাতা শতভাগ করন, বাড়ি ভাড়া ৪৫ শতাংশ ও মেডিকেল ভাতা ২০ শতাংশ করেন এবং জাতীয়করনের পদক্ষেপ নিশ্চিত করাই হোক শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের সময় উপযোগী পদক্ষেপ।শিক্ষা ক্ষেত্রে বিগত ২৩ বছরের কলংক মুছে ফেলে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের কে সন্মানের সাথে বাঁচতে দেওয়াই হোক আগামির প্রত্যাশা।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আমার খবর
© All rights reserved © 2025 Kisukhoner Pathshala
Customized By BlogTheme