শনিবারের মধ্যে ব্যবস্থা না নিলে রবিবার থেকে নতুন কর্মসূচির ঘোষনা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের।
এমপিওভুক্ত শিক্ষায় বৈষম্য নিরসনসহ জাতীয়করণের দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারিদের লাগাতার অবস্থান কর্মসূচির তৃতীয় দিনে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার হাজার শিক্ষক-কর্মচারী অংশগ্রহণ করেন। শিক্ষক- কর্মচারিগণ সরকারি নিয়মে বাড়িভাড়া, চিকিৎসা ভাতা, শতভাগ উৎসব ভাতা ও সর্বজনীন (প্রতিষ্ঠান প্রধান থেকে কর্মচারী পর্যন্ত) বদলীর দাবি জানান । জোটের সদস্য সচিব ও বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষক-কর্মচারী ফোরামের সভাপতি প্রিন্সিপাল দেলাওয়ার হোসেন আজীজী বলেন, মাননীয় শিক্ষা উপদেষ্টা আমাদের ভাতাসমূহ পরিবর্তনের মৌখিক আশ্বাস দিয়েছেন। কিন্তু এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারিগণ বারবার প্রতারিত হয়ে আশ্বাসের উপর বিশ্বাস করে আবারও প্রতারিত হতে চায় না। ১৫ ফেব্রুয়ারি শনিবারের মধ্যে শতভাগ উৎসবভাতার প্রজ্ঞাপন জারি এবং বাড়িভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা বৃদ্ধির ব্যাপারে সুস্পষ্ট ঘোষণা দেওয়া না হলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচির পাশাপাশি ১৬ ফেব্রুয়ারি রবিবার এমপিওভুক্ত (স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও করিগরি) সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করা হবে। উল্লেখ্য যে, এমপিওভুক্ত শিক্ষক- কর্মচারিগণ মাসিক ১০০০/- বাড়িভাড়া, ৫০০/- চিকিৎসা ভাতা ও ২৫% উৎসব ভাতা পেয়ে থাকেন যা অত্যন্ত অযৌক্তিক ও অমানবিক । উপস্থিত সদস্যদের মধ্য থেকে বক্তব্য রাখেন জোটের সমন্বয়কারী জহিরুল ইসলাম, যুগ্ম আহবায়ক আবু তালেব সোহাগ, জাহাঙ্গীর হোসেন, যুগ্ম সদস্য সচিব আবুল বাসার, আব্দুল হাই সিদ্দিকী, রবিউল ইসলাম, তোফায়েল সরকার, সবুজ হাসান, আমাতুন্নাহার, ফররুক শেরাহ্, মো. কাইয়ুম, আফরোজা শ্রাবন, অধ্যক্ষ আলা উদ্দিন, অধ্যক্ষ হারুন অর রশীদ, আব্দুর রহমান, অধ্যক্ষ হাবিবুর রহমান, অধ্যক্ষ ইসমাইল হোসেন, অধ্যক্ষ মফিজুল ইসলাম, অধ্যক্ষ আবু সায়েম মোল্লা, নুরুল আলম খান, অধ্যক্ষ রুহুল আমীন, গোলাম সাদেক, মো. ইলিয়াস, নূরুল আলম হেলালী প্রমুখ।
এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের বৈষম্য নিরসনের লক্ষে চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে এ-ই কর্মসূচী ঘোষণা করা হয়। সকল প্রতিষ্ঠানকে আন্দোলনকে সহযোগিতা করার অংশ হিসেবে এ-ই কর্মসূচীতে পালন করে আন্দোলনকে বেগবান করতে সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীযকরণ প্রত্যাশিত জোটের নেত্বৃবৃন্দ।
Leave a Reply