আমরা এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারী আমরা কিন্তু গর্ব করে বলতেই পারি যে, আমরা পুরো মাস বেতন ছাড়াও কাটিয়ে দিতে পারি। আমরা প্লেটোর দর্শনের অনুসারী। আমাদের সংসার নেই, আমাদের পরিবার নেই, নেই কোন প্রয়োজন। নেই কোন দায়িত্ব।
এই যদি হয় মাউশির কার্যকলাপ। তাহলে কিন্তু এ-ই মাউশির কার্যক্রম নিয়ে যথেষ্ট প্রশ্ন করাই যায়। মাউশির আসলে কাজ কি শিক্ষা ও শিক্ষকদের গুনগত মান বৃদ্ধির জন্য কাজ করা কিন্তু বাস্তবে কি হচ্ছে বাস্তবে হচ্ছে উল্টো। মাউশির অধিকাংশ সিদ্ধান্ত কিন্তু শিক্ষা ও শিক্ষকদের বিরুদ্ধে যায়। মাউশি যে সিদ্ধান্তগুলো নেয় তার অধিকাংশগুলো শিক্ষকদের উপকারের পরিবর্তে সাংঘর্ষিক হয়ে দেখা দেয়।
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত ৩ লাখ ৬০ হাজার শিক্ষক কর্মচারী চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে ইলেক্ট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার বা ইএফটির মাধ্যমে বেতন-ভাতা পেতে পারেন। পঞ্চম ধাপে ৮ হাজার ৮০০ এর বেশি শিক্ষক-কর্মচারীর বেতনের প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর সব শিক্ষককে একসঙ্গে জানুয়ারি মাসের বেতন দেওয়া হতে পারে।
বুধবার শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন।
নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে মাউশির এক উপ-পরিচালক বলেন, ‘পঞ্চম ধাপে ৮ হাজার ৮৮৭ জন শিক্ষক-কর্মচারীকে বেতন দেওয়া হবে। এজন্য তাদের তথ্য আইবাস++ এ পাঠানো হয়েছে। এই তথ্য যাচাই শেষে তা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে যাবে। এরপর সব শিক্ষককে একসঙ্গে জানুয়ারি মাসের বেতন দেওয়া হতে পারে। আমরা চেষ্টা করছি ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ দিকে তাদের বেতন-ভাতা দেওয়ার।’
জানা গেছে, বেসরকারি স্কুলকলেজের ৩ লাখ ৮৯ হাজার শিক্ষক-কর্মচারীর মধ্যে ৩ লাখ ৮০ হাজার শিক্ষক-কর্মচারীর তথ্য যাচাই করছে মাউশি। এরমধ্যে প্রথম ধাপে এক লাখ ৮৯ হাজার শিক্ষক-কর্মচারী ডিসেম্বর-২০২৪ মাসে ইএফটিতে বেতন পেয়েছেন। দ্বিতীয় ধাপে ৬৭ হাজার এবং তৃতীয় ধাপে ৮৪ হাজার ৭০০ শিক্ষক-কর্মচারী ইএফটিতে বেতন পেয়েছেন। সব মিলিয়ে ৩ লাখ ৪০ হাজারের বেশি শিক্ষক কর্মচারী ইএফটিতে ডিসেম্বর-২০২৪ মাসের বেতন ভাতা পেয়েছেন। সে হিসেবে এখনও ডিসেম্বর মাসের বেতন পাননি প্রায় ৪০ হাজার শিক্ষক-কর্মচারী। এই শিক্ষক-কর্মচারীদের কেউ এখনও জানুয়ারি মাসের বেতন পাননি।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের ইএমআইএস সেল সূত্র জানিয়েছে, শিক্ষক-কর্মচারীদের তথ্য যাচাইকালে অনেক শিক্ষক-কর্মচারীর ডাবল এমপিও, ভুল তথ্য দিয়ে এমপিও নেওয়ার বিষয়টি সামনে আসে। এছাড়া অনেকের মাউশির এমপিও শিটের তথ্যের সঙ্গে জাতীয় পরিচয় পত্রের তথ্যের মিল নেই। আবার অনেকের ব্যাংক হিসাবের সঙ্গে জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্যের মিল নেই। বিষয়গুলো সমাধান করে চতুর্থ এবং পঞ্চম ধাপে শিক্ষকদের ডিসেম্বর মাসের বেতন ছাড়ের চেষ্টা চলছে।
মাউশি হয়ত বলবে ভাল কিছু পেতে হলে অপেক্ষা একটু করতেই হয়। কিন্তু সেই অপেক্ষা যদি অযৌক্তিক কারণে হয় তাহলে তার মেনে নেওয়া কিন্তু কষ্টকর।
Leave a Reply