হায়রে সাধের ইএফটি! গরীবের নাকি সকল সাধ আহ্লাদ মানায় না তেমনি আমাদের অবস্থা। ইএফটির কথা শোনার পর এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীগণ একটু স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছিল যে, এই বুঝি এখন থেকে আমাদের বেতন প্রাপ্তির ঝামেলা আর থাকবে না। এই বুঝি এখন থেকে আমরা প্রতি মাসের ১ তারিখে আমারা আমাদের বেতনের টাকা বুঝে পাইব। এখন থেকে আমাদের আর বেতন প্রাপ্তিতে আর কমিটি নামক অশ্বিক্ষিত অর্ধশিক্ষিত মানুষরূপী অমানুষদের দৌরাত্ন কমবে। কিন্তু বাস্তবে হতে চলেছে তার উল্টো আজ কাল পরশু করতে করতে দিন দিন এর ভোগান্তি আরও বেড়েই চলেছে। আগে তো প্রতি মাসের বেতন প্রতি মাসেই পেতাম হয়তবা একটু দেরি হত কিন্তু এখন দেখছি তথ্য বিভ্রাটের নাম দিয়ে এক মাসের বেতন অন্য মাসে পেতে হচ্ছে, আর প্রতি সপ্তাহে শুনতে হচ্ছে মানুষরূপী মাউশি বসে থাকা অমানুষ হায়েনা দের টালবাহানা।
৫ম ধাপের শিক্ষক কর্মচারীদের ডিসেম্বরের বেতন হওয়ার কথা ছিল ১৩ তারিখের মধ্যে। এখন আবার শোনা যাচ্ছে আগামী সপ্তাহে। কারণ হিসাবে শোনা যাচ্ছে যে, নতুন এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের কারণে তাদের বেতন পেতে দেরি হচ্ছে। নতুন যাদের এমপিওভুক্ত হয়েছে তাদের তথ্য ভেরিফিকেশনের কাজ শেষ হয়নি বিধায় এ সপ্তাহে তাদের বেতন প্রদান করা সম্ভব হয়নি। আগামী সপ্তাহের যে কোন দিন তাদের বেতন হবে। আগামী সপ্তাহে যদি তাদের ডিসেম্বরের বেতন হয় তাহলে জানুয়ারীর বেতন তাদের কোন সপ্তাহে হবে। ৫ম ধাপের ৮ হাজার ৮৮৭ জন শিক্ষক কর্মচারী কিন্তু আজ তিন মাস থেকে বেতন পাচেছ না। আপনাদের কি কোন প্রকার বিবেক বিবেচনা রয়েছে যে, তাদের সংসার কিভাবে চলছে।
আগামী সপ্তাহে যদি তাদের তথ্য ভেরিফিকেশন শেষ হয়। তারপর যাবে মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের জন্য, তারপর হিসাব নীরিক্ষণ, তারপর আইবাস++ বেতন একাউন্টে সেন্ড করবে।
এখানে প্রশ্ন হলো এই যে, তারা তো তিন মাসের বেতন পাওনা আছে তাদের এই তিন মাসের বেতন কি একসাথে প্রেরণ করা যেত না। যেত তো তাহলে কিন্তু সমস্যা অনেকটা নিরসন হয়ে যেত।
মুল লক্ষ্য মাউশির যা তা হল এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের হয়রানি করা যাতে করে কোন ভাবে ইএফটি বাতিল করা যায়। অন্যান্য কোন পেশার ইএফটি চালু করতে এত হয়রানি শিকার হতে কোন পেশাজীবি যতটা হয়রানি মাউশি করছে এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের।
এভাবে আর কতদিন সহ্য করা যায় এভাবে সহ্য করতে করতে একদিন কিন্তু বিষ্ফোরণ ঘটবে তখন সামাল দিতে পারবে তো মাউশি। পারলে ভালো………..
Leave a Reply